ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেট সরানোর দাবি
আগের দিন রাতে একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বচসা থেকেই তুমুল সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এরপর সোমবার রাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যের সেই সংঘর্ষ রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ।
পরদিন সকাল ১০টার পর থেকে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ী ও হকারদের দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেট সরানোর দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রধান সড়ক আটকিয়ে ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
কলেজ শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা কলেজ। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা চায় ঢাকা কলেজকে ঝামেলায় ফেলতে। তাই ঢাকা কলেজের পাশ থেকে নিউমার্কেটকে স্থানান্তর করতে হবে। ঢাকা কলেজ চাইলে নতুন করে আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারবে।
মাহফুজুরের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ১৮১ বছরের একটা ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেন। এর আগে আর কোনো প্রতিষ্ঠান হয়নি। তারা (নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা) কীভাবে বলে ঢাকা কলেজ এখান থেকে সরে যাক। আমরাই দাবি তুলছি দ্রুত নিউমার্কেটকে ঢাকা কলেজের পাশ থেকে স্থানান্তর করতে হবে।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের কাছে শিক্ষার কোনো জ্ঞান নেই। টাকা ছাড়া এদের কিছু নেই। এরা ছাত্রদের মর্যাদা বুঝবে না। পুলিশের ভূমিকা থাকবে নিরপেক্ষ কিন্তু তারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জোট বেধে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
এসময় ঢাকা কলেজের আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী নিউমার্কেটের কিছু ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, নিউমার্কেটের কিছু অসাধু পোশাকের অহেতুক দাম হাঁকিয়ে বসে। এছাড়া পোশাক পছন্দের পর না কিনলে ক্রেতাদের বিশেষ করে নারীদের স্লেজিং করা হয়। এসব দোকানিদের অনেকেই ইভটিজার। এসবের প্রতিবাদ করার ফলেই নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে থাকে।দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এসবের প্রতিবাদ করছেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে সড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে চলে গেলেও বুধবার থেকে আবারও আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল (বুধবার) থেকে ঈদ পর্যন্ত আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে ও সামনের সড়কে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কোন দাবিতে সে আন্দোলন প্রশ্নে তিনি জানান, নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় আর কোনো সন্ত্রাস–চাঁদাবাজি চলবে না, ব্যবসার নামে কোনো সন্ত্রাস চলবে না।