দুই আওয়ামী লীগ নেতার হাতাহাতি
লক্ষ্মীপুরে বর্ধিত সভায় বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরনবী চৌধুরী ও মো. নুরুজ্জামান মাস্টারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
নুরনবী চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নুরুজ্জামান দালাল বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। পূর্ব নির্ধারিত দালালবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সিনিয়র এ দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির হাওলাদার, সদর থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক খসরু নোমান রতন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী ও সহ-সম্পাদক জয়নাল আবেদিন রিগ্যানসহ বিপুল-সংখ্যক নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তিন নেতা জানান, নুরনবী চৌধুরী ও নুরুজ্জামান মাস্টারের সমর্থকরা একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এতে দুই নেতার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে অতিথিরা তাদেরকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।
নুরুজ্জামান মাস্টার বলেন, বর্ধিত সভায় অংশ নিতে হলে দলের সদস্য হতে হবে। কিন্তু সদস্য পদ নেই, তবুও কয়েকজনকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়। তারা আমার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
নুরনবী চৌধুরী বলেন, হাতাহাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্ধিত সভায় নেতারা মান-অভিমান নিয়ে বক্তব্য দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। বড় ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীরা মান-অভিমানের কথা বলেছেন।
