‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে শেখ হাসিনা ৯০ ভাগ ভোট পাবেন’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি কুচক্রী মহল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে তখন একটি কুচক্রী মহল দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
কথায় কথায় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, দেশকে বিশ্বের কাছে হেয় করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিসে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাম ভাঙানোর অভিযোগ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা হোসেন, শেখ রেহানা, রোদোয়ান সিদ্দিক ববি এদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে।
শুনেছি এদের কারও কারও নাম করে সচিবালয়, বিভিন্ন অফিসে আর্থিক সুবিধা, ব্যবসা চাওয়া হচ্ছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের অভিযোগ দিতে পারবেন না। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে না।
তারা চাকরি করে জীবন ধারণ করেন। কেউ তাদের নাম ভাঙানোর চেষ্টা করলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তথ্য দেয়ার অনুরোধ করছি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্যও ষড়যন্ত্র চলছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। সে জন্য বার বার জনগণের সমর্থন নিয়ে তিনি ক্ষমতায় আছেন।
যেকোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে শেখ হাসিনা ৯০ ভাগ ভোট পাবেন। বিশ্বে তার সততার সুনাম আছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে স্বস্তি-স্থিতি যেভাবে আছে, অনেক দেশেই তা নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা লন্ডনে বাসে চড়ে চলাফেরা করেন। তার সেখানে গাড়ি নেই, বাড়ি নেই। বঙ্গবন্ধুর সততা থেকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা শিক্ষা নিয়েছেন।
শেখ হাসিনার সন্তানদের মধ্যে ক্ষমতার দাম্ভিকতা নেই। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ ভালো আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বিশ্বের বিস্ময়। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ ভালো আছে। যারা বড় বড় কথা বলেন সামনে নির্বাচন কি এজেন্ডা নিয়ে তারা জনগণের সামনে আসবেন।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যেকার সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাতেই বিএনপি তোলপাড় করে ফেলেছে। অথচ বিএনপি আমলে নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ছিল প্রতিদিন রণক্ষেত্র। নিউ মার্কেটের ঘটনায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
বিএনপি সময়ের মতো পার্মানেন্ট রণক্ষেত্র হয়নি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের আমলে কি অবস্থা ছিল আপনার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজের আশপাশের পরিস্থিতি।
ভুলে গেছেন ফখরুল সাহেব। সরকার তো সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আপনাদের সময়ের মতো রণক্ষেত্র হয়নি।’ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।