পাসপোর্ট দেখেই বললেন, এই হোটেলে ‘বাংলাদেশি নাগরিক এলাউ না’

শুধুমাত্র বাংলাদেশি বলে থাকা হয়নি যে হোটেলে– শিরোনামে সেইন্টমার্টিন বীচ ইকো রিসোর্টের মালিক Tahir Muhammad Tawkir নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে লিখেন, আমি দেশ বিদেশে অনেক হোটেলে গিয়েছি কিন্তু বাজেটের মধ্যে এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্মৃদ্ধ হোটেল দেখিনি। দেয়ালগুলো গুল্মলতায় ছেয়ে আছে। ছোট্ট হাউজে শাপলা ফুল, সেই সাথে ছুটাছুটি করছে মাছ। বুঝাই যাচ্ছে মালিক বেশ রুচিশীল মানুষ।

হোটেল টি বেশ পছন্দ হলেও আমাদের থাকা হয়নি। কারন চেক ইনের সময় হোটেল মালিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখে জানালেন এই হোটেলে
“বাংলাদেশি নাগরিক এলাউ না”…..!!!!

প্লেস- ভাইজ্যাক, ইন্ডিয়া।

সেখানে আরো অনেকে একই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।

Fahad Bin Husne Ali বলেন, আমাকেও রিশিকেশ এবং পুশকারে হোটেলে থাকতে দেয় নি বাংলাদেশী বলে। মুম্বাইতে এক হোটেলে ডিনাই করলে ক্ষেপে যাই।পরে চেকিন বুকে কোন তথ্য না রেখে থাকতে দেয়।

Jareer Nadwi বলেন, আমাকেও মেঘালয়াতে অনেকগুলা হোটেলে থাকতে দেয়নি বাংলাদেশী বলে…

Mainul Islam Razu বলেন, রাজস্থানে আমার সাথে এইরকম একবার হয়েছিল।

সৈকত নীল বলেন, আমরা যেবার শিলং গেলাম তখন হোটেল রুম পেতে কি পরিমাণ যে কষ্ট হয়েছে ! বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলেই কেউ আর হোটেল দিতে চাচ্ছিলো না ! পড়ে বহু কষ্টে বেশি টাকা দিয়ে এক হোটেলে আমরা থেকে ছিলাম । 😢

Ibrahim Khalil বলেন, সেন্ডেল 🤥 তোয়ালে চুরি, চেক ইনের সময় টাকা নিয়ে যামেলা। ” টাকা নিয়ে পালাই (পালিয়ে) যাবোনা! ” আপনার এই টাকা খেয়ে কি বড়লোক হবো? ডট ডট ডট

রুম নেওয়ার পর নিজেদের মধ্যেও জগড়া (ঝগড়া) করে অনেকে টাকা নিয়ে ভাগাভাগি করতে। এসব মূল কারণ। < আমার জানা মত (মতে)>

Ahamed Ullah Siyam এর কমেন্টের জবাবে Tahir Muhammad Tawkir বলেন, শুধুমাত্র সবুজ পাসপোর্ট এর কারনে রাত ১২ঃ৩০ এ রুম থেকে চলে যেতে হইছে…রুমে ঢুকছি,খুব ক্লান্ত,শুয়ে পরছি আমি,আরেকজন গোসলে ঢুকছে। আরেকজন নিচে চেক ইন করতেছিল। যখন দেখলো সবুজ পাসপোর্ট। সোজা সাপ্টা না করে দিল।

Abid Hassan বলেন, এই দেশের নাগরিক হয়ে লজ্জা লাগে। কারণ সব দেশেই ফইন্নি ভাবে দেখে।

Nahidul Alam Neel বলেন, ব্যাপারটা মনে হয় না শুধু বাংলাদেশী বলে থাকতে পারেন নাই। ফরেনার ভাড়া দেওয়ার জন্য বেশ কিছু ফর্মালিটি মেইনটেন করতে হয় যেমন পাসপোর্ট, এরাইভাল সিল, ভিসার কপি এগুলা রাতে কাছাকাছি থানায় আর কোথায় যেন মেইল করে ইনফর্ম করতে হয়। তাই অনেকে ফরেনার ভাড়া দেয় না আবার অনেকের ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট ভাড়া দেয়ার পারমিশনই থাকে না। দার্জিলিং এই খুজলে অনেক বাজেট হোটেল পাবেন যেগুলা ভাড়া খুবই কম আবার ইন্টেরিয়র মাথা নষ্ট করার মতো কিন্তু তারা ফরেনারদের ভাড়া দিতে পারে না লাইসেন্সের জন্য। আর আমাদের চেহারা ইন্ডিয়ানদের মতো দেখে একটা হোটেলে রিসিপশনে ওয়েলকাম ড্রিংক (চা) খাওয়া যখন আধার কার্ড দেখতে চায়া যখন শুনছে আমরা বাংলাদেশী তখন সুন্দরভাবে বিনয়ের সাথে না করে দিসিলো। যদিও মনে মনে নিশ্চিত চা টা অপচয় হইছে চিন্তা করে গালি দিতেছিলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *