সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামছে এবি পার্টিও

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের নেতারা।

শনিবার দুপুরে এবি পার্টি আয়োজিত বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ, পন্থা এবং পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক মুক্ত সংলাপে তারা এ কথা বলেন।

আলোচনায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনের পথ পন্থা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই আমাদের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ভাবতে হবে। একটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনভাবেই আর গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। গণ-আন্দোলন ব্যাতিরেকে এই সরকারের পতন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

কাজেই বিরোধী দল গুলোকে ঐক্যমতে আসতে হবে সরকারের পতন আন্দোলনের ব্যাপারে।

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সব দলই এই সরকারের পতনের ব্যাপারে একমত। কিন্তু কার নেতৃত্বে আন্দোলন হবে?

নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে এবং সবাই একজোট হয়ে আন্দোলন করার ব্যাপারে একত্রিত হওয়া কঠিন ব্যাপার। আমাদের সমাজ একটি বিভাজিত সমাজ।

সুবিধা ভোগী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তে ঘিরে আছে সব রাজনৈতিক দল। কাজেই শুধু একটি নির্বাচনই সমস্যার সমাধান নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা নেই। তারা মনে করে একদল যাবে আরেক দল আসবে, আমাদের কী হবে।

জনগনের সামনে আগে আপনারা রাষ্ট্র নিয়ে আপনাদের ভাবনা উপস্থাপন করুন। তাদের লাভ লোকসান বোঝার সুযোগ না দিলে কেন তারা আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত হবে। একটি যুগপৎ আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করতে হবে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ভবিষ্যত পরিস্কার করতে হবে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একেক পক্ষ একেক রকম চিন্তায় রয়েছে। যে যে চিন্তায়ই থাকুক নূন্যতম বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এই সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করার পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে, যার মেয়াদ ৩/৪ মাস হলে হবেনা। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রশাসনকে হটিয়ে একটি জনবান্ধন প্রশাসন থাকবে যারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভুমিকা রাখবে।

এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় মুক্ত আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন- প্রফেসর ডা. মোজাহেরুল হক, গৌতম দাস, প্রফেসর ডা. মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নগরিক ভাবনার আহবায়ক হাবিবুর রহমান, শিক্ষক ও গবেষক প্রফেসর ড. শহীদ মঞ্জু, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলাউদ্দিন মল্লিক,

এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক, এবি যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান, এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, গণ-আজাদী লীগের মহাসচিব আতা উল্লাহ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কামরুজ্জামান ফিরোজ, মানবিক বিশ্ব গড়ার আহবায়ক শরীফ সাকি, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোমেনা খাতুন, রেইনবো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক, সহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *