কর্মকর্তা জেলে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
তৃতীয় স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান জেলহাজতে যাওয়ায় উপজেলায় দুটি ইউপি নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মতিয়ার রহমানের তৃতীয় স্ত্রী হাফিজা বেগম গত জানুয়ারি মাসে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার মতিয়ার রহমান আদালতে হাজিরা দিলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠায় আদালত।
এদিকে সোমবার নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ও হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি অনুপস্থিত বলে জানান ওই অফিসের স্টাফরা। তার অনুপস্থিতির দরুন অফিসের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তারা।
এদিকে খবর পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান মঙ্গলবার গোপালপুরে আসেন। তিনি জানান, মতিয়ার রহমান কোনো ছুটি নেননি। কাউকে কিছু না জানিয়ে টানা ৬দিন ধরে তিনি বিনা অনুমতিতে অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন।
তিনি মতিয়ার রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে জানতে পেরেছেন, তৃতীয় স্ত্রীর মামলায় মতিয়ার রহমান গত বৃহস্পতিবার জেলহাজতে গেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
নির্বাচনি কাজকর্ম যাতে ব্যাহত না হয় এজন্য ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার নাজমা সুলতানাকে শীঘ্রই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক খবরটি নিশ্চিত করেন।