‘জনগণ হাতে হাতুড়ি তুলে নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীকে দমন করা সম্ভব হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার ছাত্রদের দিয়ে পড়ালেখা করাতে চায় না। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য নয়। এই সরকার গুম, খুন, মিথ্যা কথায় নোবেল পুরস্কার পাওয়া দরকার।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় চক্রান্ত মূলকভাবে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা এবং গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকার পতনের আন্দোলন চলমান থাকবে। কোনো ঈদের আগে আর পরে নয়। এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছি আমরা। আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন করা।’

নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমান সরকার ছাত্রদের দিয়ে লেখাপড়া করাতে চায় না। তাদের খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, ধর্ষণ করায়। বাংলাদেশে কোন মার্কেট আছে যেখানে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি হয় না। ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, চাপাবাজি তাদের কাজ। যুদ্ধের মানে এই নয় যে, শুধু গুলি খাব, আমরা তো একতরফা মার খাচ্ছি, মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজির হচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘হেলমেট বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ হাসিনা। এটা বিশ্বাস করতে কারো সন্দেহ নাই, অসুবিধা নাই। আর ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীকে আড়াল করতে পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা জনগণের মুখোমুখি করেছেন। একাত্তরের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চেয়েও জঘন্যভাবে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার। জনগণ হাতে হাতুড়ি তুলে নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীকে দমন করা সম্ভব হবে।’

পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে না। সে ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আপনাদের কি চাকরি করা লাগবে না। বিচারের নামে প্রহসন, বিচারের নামে অবিচার হয় সেই অবিচারেরও বিচার হবে। বর্তমানে ছাত্রদের শেখ হাসিনা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে তাদের মান সম্মান এবং তাদের গার্ডিয়ানরা আতঙ্কে থাকে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাক কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু। পরিচালনা করেন আরেক সাবেক ভিপি হারুনুর রশিদ।

বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সাবেক জিএস জাকির হোসেন, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, যুবদলের নূরুল ইসলাম নয়ন, মৎস্যজীবী দলের ওমর ফারুক পাটোয়ারী প্রমুখ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আওলাদ হোসেন উজ্জল, ডা. জাহেদুল কবির, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়াসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

উৎসঃ দেশ রুপান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *