সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি বিদ্যমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করতে চান সাইফুল
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি চরম কর্তৃত্ববাদী বিদ্যমান স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করা জরুরি।
বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া দেশে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক দায়বদ্ধ রাজনৈতিক বিধিব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র জবাবদিহিতান স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতার উৎস সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদসহ পরিবর্তন করতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে রাজনৈতিক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদা বেগম, সিকদার হারুন রশীদ মাহমুদ, ইফতেখার আহমেদ বাবু, শহীদুল আলম নান্নু, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, এপোলো জামালী,
সাইফুল ইসলাম, ডা. মনোয়ার হোসেন, জসিম রাড়ী ও কামরুজ্জামান ফিরোজ, পার্টি সংগঠক খায়রুল বাসার হিরন, মাহবুব আলম খান, মুনসুর রহমান, আবদুল মান্নান রানা, আক্কাস আলী, নাঈম খান, আইয়ুব আলী, জোনায়েদ হোসেন ফাতেমা পাখী, মোহাম্মদ মোক্তার আলী ও মো. সালাউদ্দিন।
এ সময় সাইফুল হক আরো বলেন, একাত্তরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর যে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ও মানবিক হবার দায় ছিল গত পঞ্চাশ বছরে সেই রাষ্ট্রকে দমনমূলক বলপ্রয়োগের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে জনবান্ধব করার পরিবর্তে জননিপীড়ন ও জনভোগান্তির প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। শাসকশ্রেণি ও শাসক দলসমূহ নিজেদের কোটারি স্বার্থে গোটা রাষ্ট্রকে এক জনবিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানে পর্যবসিত করেছে। দেশ ও জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এই ব্যবস্থার খোল-নলচে পাল্টে ফেলানোর আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় ভোটাধিকার নিশ্চিত করাসহ একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠায় দেশবাসীকে জাগিয়ে তুলতে পার্টির নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।