সেনা কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার পিএমএল-এন নেতা রফিক ও নওমান
সেনাবাহিনী কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা খাজা সালমান রফিক এবং হাফিজ নওমান।
লাহোরে পিএমএল-এন সমর্থকরা মেজর হারিস নামের এক সেনা কর্মকর্তাকে মারধর করলে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
খবরে জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে ৩৪৯ (সন্ত্রাসবাদ এবং লাঞ্ছনা), ১৪৯ (বেআইনি সমাবেশ), ১৪৮ (দাঙ্গা), ৪২৭ (ক্ষতি সাধন) এবং ৩৭৯ (চুরি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার এক সামরিক কর্মকর্তাকে মারধোরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর এরসঙ্গে যুক্ত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রফিক ও নওমানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় লাহোরের ভারপ্রাপ্ত সিসিপিও এবং ডিআইজি ইনভেস্টিগেশন।
ওই সেনা কর্মকর্তার পিতা মামলায় অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তার সন্তানকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। একটি সাদা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেজর হারিসের গাড়ির উপরে তুলে দেয়। সেখানে তিনি গাড়ির চালকের মুখোমুখি হন।
কিন্তু এরপরই সাদা গাড়ি থেকে এক দল মানুষ বের হয়ে হারিসের গাড়ি রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে। হারিস গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও অজ্ঞাত কিছু মানুষ তাকে অনুসরণ করতে থাকে এবং মাসুদ হাসপাতালের কাছে তাকে থামাতে সক্ষম হয়। তারা হারিসকে গাড়ি থেকে বের করে আনে। এসময় আসেপাশের মানুষ ছুটে এলেও হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তারা হারিসের মোবাইল ফোনটিও চুরি করে নিয়ে যায়।
হামলায় হাত ভেঙ্গে যায় হারিসের। তিনি বর্তমানে লাহোরের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আত্মসমর্পণের আগে সালমান রফিক এক টুইটে বলেন, তিনি নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই চলাচল করেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র নেই।
সেনা কর্মকর্তার ওপরে হামলার নিন্দাও জানান তিনি। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে আইএসপিআরের মহাসচিব মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, যে তিন জন মেজর হারিসকে লাঞ্ছিত করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কখনো তার কর্মকর্তাদের একা ছেড়ে দেয় না। অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করাই হবে।