আওয়ামী লীগ নেতাদের দৌঁড়ঝাপ

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ও কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা পদের আশায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। পদ-পদবীর আশায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো এখন তোরণ ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। বর্তমানে স্থানীয় দলীয় নেতারা বর্ধিত সভা বাস্তবায়নে নিজের অবস্থান জানান দিতে কাজ করছেন।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধুর জেলা হিসেবে পরিচিত। ৫২’র ভাষা অন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন, এরশাদ হঠাও আন্দোলনে জেলার অবদান ছিল গর্ব করার মতো। সেই দিক থেকে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ মাসের কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্ধারিত হলে ২০১৭ সালের এপ্রিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিতে অনেক অনিয়ম থাকায় দলের কোন লাভ হয়নি।

দলের অনেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগে কারাভোগ করছেন আবার অনেকেই পালাতক রয়েছেন, কেউ আবার বহিস্কাকৃত। ফলে এ কমিটির কারণে দলের চরম ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল।

আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছেন। তারই আলোকে আগামী ১৬ই এপ্রিল ফরিদপুরে দলটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এবার দলের সভাপতি পদের জন্য কাজ করছেন- বর্তমান সভাপতি এডভোকেট সুবল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সহ-সভাপতি শামিম হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল হক ভোলা মাস্টার, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ফারুখ হোসেন।

সাধারণ সম্পাদক পদের আশায় করছেন সাবেক কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমিতাব বোস, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শওকত আলী জাহিদ, যুবলীগ আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দিপক মজুমদার ও শিল্পপতি যশোদা জীবন দেবনাথ।

শামিম হক বলেন, আমি দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের একত্রিত করে কাজ করেছি। দলকে সুসংহত করেছি। দলের উন্নয়নে ও করোনাকালে সাধারণ মানুষকে দলের পক্ষ হতে সহযোগিতা করেছি। আমি প্রত্যাশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করবেন।

ফারুখ হোসেন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করি । ইয়াছিন কলেজের ভিপি নির্বাচিত হই। জেলা যুবলীগের সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী আমাকে সভাপতি হিসাবে মনোনীত করলে আমি দলকে শক্তিশালী করবো।

অমিতাব বোস বলেন, তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর পৌর মেয়র পদে আছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাধরণ সম্পাদক মনোনীত করলে আমি দলের হয়ে কাজ করবো। একই কথা অন্যান্য নেতারা বললেন।

অনেকটা ঝিমিয়ে পড়া দলকে শক্তিশালী করতে ত্যাগী, সৎ, যোগ্য নেতা নির্বাচিত করলে দলের লাভ হবে, সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাতে আগামী নির্বাচনে দলের জন্য এসব নেতারা মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *