প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন মার্কিন দূত পিটার হাস
ঢাকায় দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আগামী বৃহস্পতিবার (১লা সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হবে প্রতীক্ষিত সেই মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে বাড়তি সতর্কতা, শিডিউল জটিলতাসহ নানা কারণে প্রায় ৬ মাস ধরে সরকার প্রধানের সাক্ষাতের অপেক্ষায় নতুন মার্কিন দূত পিটার হাস। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সৌজন্য সাক্ষাতে পরিচয়পর্ব ছাড়াও দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে কথা হতে পারে।
চলতি বছরের ১লা মার্চ ঢাকায় আসেন মার্কিন দূত পিটার হাস। ১৫ দিনের মাথায় তিনি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। বঙ্গভবনে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় প্রেসিডেন্ট তার পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান সেদিন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গণ্ডি পেরিয়ে এটি এখন ব্যবসা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত এবং গভীর।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকার পাশে থাকা ছাড়াও টিকা ও করোনা মোকাবিলার সরঞ্জামাদি প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট।
পরিচয়পত্র পেশ করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে গার্ড অব অনারসহ উষ্ণ অভিবাদন জানায়।
ঢাকায় গত ৩ বছর সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারের স্থলাভিষিক্ত হওয়া পিটার হাস সর্বশেষ অর্থনীতি ও ব্যবসাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বছরের ৯ই জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার হাসকে নিয়োগের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সিনেট তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করে।
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উত্তেজনা, ডিসেম্বরে র্যাবের ওপর জারি হওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের এই সময়ে ঢাকায় পিটার হাসের যোগদানটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অবশ্য শুরু থেকে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেয়া মার্কিন দূত বরাবরই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্যারিসে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে মার্কিন প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়াও ভারতের মুম্বাইয়ে সফলতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন পিটার হাস।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর একাডেমিক পড়াশোনা থাকা পেশাদার ওই কূটনীতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অর্জন করা বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।