মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে গেল আলোচিত সেই ‘টুইন টাওয়ার’ (ভিডিও)

আদালতের নির্দেশে মাত্র ৯ সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের ৩২তলার বহুল আলোচিত অট্টালিকা টুইন টাওয়ার।

স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডায় অবস্থিত কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই বহুতলটি ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে মাত্র ৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা শুরু থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। এটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

যা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছিল আদালতে। অবশেষে এ বছর ১২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, ২৮ আগস্ট ভেঙে ফেলতে হয় এই বহুতল ভবন।

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই রোববার ভেঙে ফেলা হয় এই অট্টালিকা।

ভাঙতে গিয়ে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা নেওয়া হয়।

নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল নয়ডার এই যমজ অট্টালিকার। মাটিতে মিশে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বিতর্কেরও অবসান হল। ২০০৫ সারে সেক্টর ৯৩এ-তে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল সুপারটেক নির্মাণ সংস্থা। অট্টালিকাগুলোর উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে, এমন নির্দেশ দিয়েছিল নয়ডা প্রশাসন।

২০০৬ সালে আরও জমি দেওয়া হয় নির্মাণ সংস্থাকে। ২০০৯ সালে ঠিক করা হয়, আরও দু’টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন। ২৪ তলা পর্যন্ত এই যমজ অট্টালিকা বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৪০ তলা করা হয়। আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

এমারল্ড কোর্ট ওনার্স রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই বেনিয়মের বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে। অভিযোগ তোলা হয়, নির্মাণকারী সংস্থা উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্ট ওনার্স অ্যাক্ট, ২০১০-এর লঙ্ঘন করেছে। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে বাগান করা হবে বলে দলিলে দেখানো হয়েছিল, সেই জায়গাতেই অট্টালিকা গড়ে তোলা হয়। নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে অ্যাপেক্স এবং সিয়েনকে নির্মাণ করা হয়েছে।

২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছিল। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা পৌঁছয়। অবশেষে যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *