১৬ সেপ্টেম্বর মাঠে নামছে গণতন্ত্র মঞ্চ
সারা দেশে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার সকালে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামালউদ্দীন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পর্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু প্রমুখ।
সভায় সাত দল ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত গনতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর দমন পীড়নের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, সারাদেশে যেভাবে বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা করছে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তা সরকারের চরম দমননীতির প্রকাশ। মূলত সরকার গণজোয়ার দেখে গণরোষের ভয়ে দমন নীতি বেছে নিয়েছে। কিন্তু এভাবে হামলা-মামলা ও নির্যাতন করে কোন স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও এভাবে হামলা মামলা করে গণজোয়ারের এই ঢেউ থামাতে পারবে না।
সভায় নেতারা সকল ভয় বাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সংগ্রামে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
গনতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, গত কয়েকদিনে বিএনপির ওপর হামলার পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন সংগঠন ও সমাবেশের ওপরও হামলা চলছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আব্দুল আলীম মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করেছে সরকারি দলের স্থানীয় গুণ্ডারা, শ্রীমঙ্গলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সংহতি সমাবেশে হামলা চালিয়ে রিয়াজসহ আহত করা হয়েছে ১০-১২ জনকে।
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে নাটোরে, লক্ষ্মীপুরে, পঞ্চগড়ে যুব ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলা, কুপিয়ে হত্যা, এছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকার মিরপুরে গণসংহতির কর্মীদের ওপর হামলা এবং ঢাকার মোহাম্মদপুর অঞ্চলে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে বাধা প্রদান করার ঘটনায় সভা থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।