‘২২ জন তথ্য সন্ত্রাসী রয়েছে এদের জবাব দিতে হবে’

বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি এক নাগরিক সংবর্ধনায় কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য কারা দায়ী সেটিও এই নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেননি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ।

তিনি এ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, তারা অভিযোগ করেছেন ২০০৯ সাল থেকে নাকি র‌্যাব কর্তৃক ৬০০ লোককে গুম করা হয়েছে। অথচ আমি র‌্যাবে ঢুকেছিলাম ২০১৫ সালে। তাহলে আমাকে কেন ঐ তালিকায় নেওয়া হয়েছে।

এজন্য আমি মার্কিন প্রশাসন অথবা আমেরিকানদেরকে দোষারোপ করতে চাই না। কারণ এটা করেছে তারাই, যারা সত্তর সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দেয়নি, যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল ওই গোষ্ঠী। বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে চারটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল। সেই ভাড়াটে ফার্ম টানা তিন বছর চেষ্টা করেছে এই নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনা সমাবেশে আইজিপি এই বক্তব্য গুলো তুলে ধরেন। তিনি তিনি বলেন, বড় সত্য হচ্ছে ২০০৯ সালে আমি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে ফাস্ট সেক্রেটারি হিসেবে চাকরিতে ছিলাম। যে ৬০০ লোকের গুমের অভিযোগ করা হয়েছে তাদের কোনো তালিকা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতিসংঘের দুই দিনের পুলিশ প্রধানের সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে নিউইয়র্ক সফর করছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। সেখানে জ্যাকসন হাইটসের কাছে গুলশান ট্যারেস মিলনায়তনে এই নাগরিক সংবর্ধনা আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কমিটি। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হিন্দাল কাদির বাপ্পা। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন নিউইয়র্কের কাউন্সিল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের বিরুদ্ধে, অগ্রযাত্রায় বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন স্বাধীনতার সংগ্রাম করে বিজয়ী হয়েছি। এখন চলছে মুক্তির লড়াই। এ লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।

আইজিপি বলেন, ২২ জন তথ্য সন্ত্রাসী রয়েছেন। এদের জবাব দিতে হবে। আপনি যে মূল্যবোধের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেই বিশ্বাসে যদি চ্যাম্পিয়ন হন তাহলে আপনাকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন একসময় মনে করা হয়েছিল যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিকতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। কিন্তু বাস্তবে কি দেখছি আমরা এ প্রশ্ন রেখে পুলিশ প্রধান বলেন আশা করা হয়েছিল সমাজের তথ্যচিত্রটি সবিস্তরে উঠে আসবে।

এখন দেখা যাচ্ছে যত ভূয়া আজগুবি তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। তথ্য সন্ত্রাসীরা দেশের বিরুদ্ধে, তারা মানবতার বিরুদ্ধে বিরোধী যত সব অপপ্রচার চালাচ্ছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন নোংরা জিনিস ফেসবুকে দেখা মাত্র ফ্ল্যাস করার দরকার।

এর বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্যকে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে মিথ্যার পরাজয় ঘটবে। বেনজির বলেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করার চলমান লড়াইয়ে আমি সকলের সাথে রয়েছি। দেশটিকে আবার সবার আগে রেখে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলার পথকে সুগম রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *