যে কারণে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ইফতার বাতিল করেছে বিএনপি
২০ দলীয় জোট ও সমমনা রাজনীতিকদের সম্মানে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ইফতার অনুষ্ঠান বাতিল করেছে বিএনপি। শনিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
দলীয় সূত্রগুলো বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির পক্ষ থেকে যুগপৎভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে কর্মসূচি ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তার শুরুতেই কোনও বিতর্কে পা দিতে চায় না বিএনপির হাইকমান্ড।
এক্ষেত্রে ইফতার মাহফিল হলে বিদ্যমান ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের রেখেই ভাবতে হচ্ছিল বিএনপিকে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের সঙ্গে আবারও প্রকাশ্যে দেখা যেতো তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যকে ফোন করা হলে এই ইস্যুতে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০ এপ্রিল রাজনীতিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল ছিল। সেটি বিএনপি বাতিল করেছে বলে জানতে পেরেছি।’
দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে যে বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে, ইফতার মাহফিলে জামায়াতের অংশগ্রহণ হলে তা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে কমিটির সদস্যরা এই আয়োজন থেকে বিরত থাকতে হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, বৃহত্তর ঐক্যপ্রক্রিয়ার আগে বিএনপি কোনও বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায় না। বিশেষ করে ‘জাতীয় সরকার ও জামায়াত’ ইস্যুটি থাকায় এক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই ইফতার বাতিল করা হয়েছে। এই আয়োজন করলে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি বলেও মনে করে সূত্রটি।
জানতে চাইলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এ বছর ২০ এপ্রিলের ইফতার অনুষ্ঠানটি করছি না। এ বছর ইফতার অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছি। এবার ম্যাডামও নেই, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দেশের বাইরে। সব মিলিয়ে আয়োজন সীমিতভাবে করছি।’