আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া ১৭ নেতা

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ নেতা। তারা ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দলের সমর্থন নিশ্চিত করতে এখন ঘুরছেন সিনিয়র নেতাদের দুয়ারে। আজ শনিবার দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তাতেই নির্ধারিত হবে কে পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদে দলীয় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। দলীয় সূত্র জানায়, এ সময়ের মধ্যে মোট ১৭ জন মনোনয়নপত্র কেন্দ্রে জমা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম এবারও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে তিনি দুই দফায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

আরও যারা দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মাঈনুদ্দিন,

সহসভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি লায়ন শামসুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান,

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চের মহাসচিব, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান,

আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা প্রয়াত সাদেক হোসেন চৌধুরীর ছোট ভাই ওসমান গণি চৌধুরী।

দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী এমএ সালাম যুগান্তরকে বলেন, ‘যখন আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন পরিষদের বাজেট ছিল ২৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ বাজেট দিয়েছি সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার। নিজস্ব উৎস থেকে এ আয়ের ব্যবস্থা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, আমি কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করব। যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন তার জন্যও নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করব।’

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের কথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *