সীমান্তে আরও তীব্র গোলাগুলি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে সে দেশের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে গেরিলা যোদ্ধাদের গোলাগুলি গতকালও অব্যাহত ছিল। প্রাণভয়ে স্থানীয় চাকমাপাড়া থেকে নিরাপদ স্থানে সরে গেছে ছয়টি পরিবার।

শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গোলাগুলি চলে। এরপর কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকলেও গতকাল সকাল ৯টা থেকে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখান থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।

এদিকে ওপারের গোলাগুলিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তমব্রু কোনারপাড়া সংলগ্ন জিরো লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত চাকমা পাড়া থেকে গতকাল বিকালে চারটি পরিবারকে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে দেখা গেছে। ওই পাড়ার বাসিন্দা বাবু তঞ্চঙ্গ্যা (তারা চাকমা হলেও জাতিগত পরিচিতি হিসেবে নামের সঙ্গে ‘তঞ্চঙ্গ্যা’ ব্যবহার করে) জানান, তাদের পাড়ায় ২৮টি চাকমা পরিবার বসবাস করে। এর মধ্যে শুক্রবার দুটি পরিবার প্রাণের ভয়ে অন্যত্র সরে যায়। শনিবার তার পরিবারসহ আরও চারটি পরিবার পাড়া ছেড়ে চলে আসে।

সীমান্তের জিরো লাইন সংলগ্ন রেজু গর্জনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলির শব্দ অন্যদিনের চেয়ে তার কাছে ব্যাপক মনে হয়েছে। তবে গতকাল দিনভর ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত কোনো গুলি বা মর্টার শেল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এসে পড়েনি।

তিনি জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জওয়ানদের অন্যদিনের মতোই টহল দিতে তিনি দেখেছেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সে দেশের সরকারি বাহিনী ও সরকারবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু বাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক সংলগ্ন ৮/১০টি গ্রামের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *