তাকসিম এ খানকে যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করার অনুমতি নিয়ে যা বলল সরকার

ঢাকা ওয়াসার বহুল আলোচিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করার অনুমতি দেয়নি সরকার।তাকে ছয় সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তার ছুটিকালীন সময়ে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) একেএম সহিদ উদ্দিনকে এমডির অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের নাকচের পরও ছয় সপ্তাহের জন্য ‘অন ডিউটিতে’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন তাকসিম এ খান। স্থানীয় সরকার বিভাগে করা সেই আবেদনে জানিয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়ালি অফিস করতে চান।তিনি অন্য কাউকে এমডির দায়িত্ব না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসে ‘অন ডিউটিতে’ থাকতে চান।

তাকসিম এ খানের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ শাখা থেকে গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) তার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের অনুমতিপত্র জারি করা হয়।

অনুমতিপত্রে বলা হয়, চিকিৎসা এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত অথবা যাত্রার তারিখ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবেন। তাকসিম এ খানের ছুটিতে থাকার সময়ে সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) একেএম সহিদ উদ্দিন নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এমডির দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই দুই মাস ভার্চুয়াল অফিসের অনুমতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান ঢাকা ওয়াসা এমডি। দুই মাসের অনুমতি থাকলেও সেখানে থেকে তিন মাস ভার্চুয়াল অফিস করেন। ওইবার ছুটিতে যাওয়ার অল্প কিছুদিন আগে তার চুক্তি নবায়ন করে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড। তখন তার কোনো ছুটি পাওনা ছিল না। এরপরও টানা তিন মাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চুয়াল অফিস করেছেন বহুল আলোচিত ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান।তবে এবার আর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করার সুযোগ দেয়নি সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসাবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এর মধ্যে কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। শুরু থেকে তিনি বছরের একটি লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রে কাটান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *