জেলা পরিষদে ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান হচ্ছেন ১৯ জন
জেলা পরিষদ নির্বাচন দেশের ১৯ জেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছয়জন। এ ছাড়া বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে তিনটি করে জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। এসব প্রার্থী বাছাইয়ে বৈধ হলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৬১ জেলার এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭১৫ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যার পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছে ১৯ জেলায়।
যেসব জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
ঢাকা বিভাগের যে ছয়টি জেলায় জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে সেগুলো হলো— নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ ও মাদারীপুর। বরিশাল বিভাগের এমন জেলাগুলো হলো— ঝালকাঠি, বরগুনা ও ভোলা; রাজশাহী বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর ও ফেনী, সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেট এবং খুলনা বিভাগে বাগেরহাটে চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল আজ বৃহস্পতিবার। এরপর আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আপিল নিষ্পত্তির পর বৈধ প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বাদে বাকি ৬১ জেলা পরিষদে ভোট হবে ১৭ অক্টোবর।