মিয়ানমারের হামলা, নিশ্চুপ বাংলাদেশ: সীমান্তে আতঙ্ক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল গোলা বিস্ফোরণের আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত এবং পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত অঞ্চলে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের কুতুপালং স্কুলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তবে শনিবার সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের কোনো শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবাসীরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী কোনাকখাল এলাকায় ফের তিনটি মর্টারশেলের গোলা এসে পড়েছিল শুক্রবার রাত ৮টায়। সীমান্তের এপারে এসে পড়েছিল ভারি অস্ত্রের গুলিও।

এ সময় মর্টারশেল গোলা বিস্ফোরিত হয়ে রোহিঙ্গা শিশুসহ চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর মো. ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত পাঁচজনের অবস্থাও গুরুতর। তারা কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই কোনাপাড়া নোম্যান্স ল্যান্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত রোহিঙ্গা।

এ ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় সতর্কাবস্থায় প্রহরায় নিয়োজিত রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরিত হয়ে এক রোহিঙ্গা শরণার্থী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। তার আগে সীমান্তের জিরো লাইনে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অন্ন্যাথাইং নামে এক বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

উৎসঃ jugantor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *