বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ বাংলাদেশ: এটা জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র
আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদটি ফেসবুকে প্রকাশিত হলে নানা ধরনের মন্তব্যে মেতেছেন নেটিজেনরা।
মূল পোস্টঃ
Tarek Bin Nabi বলেছেন, এটা জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র
Md Samsu বলেছেন, সুখি দেশের মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হয়।😄😄😄😄😄
M Ibrahim Khalilullah বলেছেন, বায়ুদূষণ এমন কিছু নয় বাঙালি জাতির জন্য যেখানে বাঙালি জাতির চরিত্র দূষিত হয়ে গেছে। অসাধু ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কল্যাণে সাধারণ মানুষ যা খাচ্ছে তা অখাদ্য কুখাদ্য ছাড়া আর কিছুই নয় বরং এই অখাদ্য কুখাদ্য খেতে খেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। ধনী ও অতি ধনীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার হার পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, অল্পের জন্য বিদেশে টাকা পাচারে বিশ্বে দ্বিতীয়।
বায়ুদূষণের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা, সরকারি আমলারা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বা শিক্ষার্থীবৃন্দ। চাষাভুষা বা শ্রমিক মুজুর বা খেটে খাওয়া মানুষ বা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা রেমিট্যান্স প্রবাহ চালু রেখেছেন যার পরিমাণ বছরে চৌদ্দ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক, তাদের কোন ক্ষতি হবে না কারণ নেংটার নেই বাটপারের ভয়। উচ্চ বিত্ত বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা বায়ুদূষণের পরোয়া করেন না কারণ তারা দূষিত বায়ু সেবন করেন না বরং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রাসাদোপম অট্টালিকায় বসবাস করেন বা অত্যাধুনিক বিএমডব্লিউ গাড়িতে ভ্রমণ করেন, আমদানিকৃত নির্ভেজাল সুসম খাবার খেয়ে থাকেন এবং তাদের সম্পদের পরিমাণ এতো বেশি যে দেশের ব্যাংকে টাকা জমা না রেখে বিদেশে পাচার করতে হচ্ছে, নমুনা দেখিয়েছেন পুতুলের চাচা শ্বশুর মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে সরকারি হিসেবে, পুতুলের শ্বশুর বা স্বামী কত পাচার করেছেন তা অবশ্য গোপন রয়েছে। সম্ভবত শ্বশুর মহাশয় মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন ও চাচা শ্বশুর গ্রেপ্তার হয়েছেন পারিবারিক কলহ বা অশান্তির কারণে।
সরকারি আমলারা পিছিয়ে নেই তারাও ঝোপ বুঝে কোপ মেরে সম্পদ আহরণ করে বিদেশে পাচার করছেন। পুলিশের এক প্রদীপ কুমার দাশ দুশোরও বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছেন, শতাধিক মুসলিম নারীকে ধর্ষণ করেছেন ও মুসলমানদের অত্যাচার, নির্যাতন ও জিম্মি করে শত শত কোটি টাকা আদায় করে ভারতে পাচার করেছেন। প্রিয়া সাহার স্বামীরা দুর্নীতি দমন কমিশনে ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ আহরণ করছেন ও ভারতে পাচার করছেন কারণ এদের বেশিরভাগের শিকড় বা শাখাপ্রশাখা ভারতীয়। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো প্রত্যেক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ সরকারি আমলারা ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়া।
সকল উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থের তুলনা করা না গেলেও পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ও ক্রিমিয়া জোড়া সেতুর নির্মাণ ব্যয় তুলনা করা যায় এই কারণে যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ও ক্রিমিয়া জোড়া সেতুর নির্মাণ কাজ একই সময়ে একই খরচে তথা ৩.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে ও ক্রিমিয়া জোড়া সেতুর নির্মাণ কাজে আকাশ পাতাল পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ক্রিমিয়া জোড়া সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র তিন বছরে যেখানে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সাত বছরে পা দিয়েছে। চীনের দীর্ঘতম টানেল নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র চার বছরে, দৈর্ঘ্য প্রায় এগারো কিলোমিটার ও প্রস্হ প্রায় চুয়াল্লিশ মিটার, নির্মাণ খরচ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১৮-২০২১) । ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও দূষণমুক্ত থাকুন।
Hossain Md বলেছেন,সবকিছুতেই দূষিত বায়ুদূষণে দূষিত দুর্নীতিতে দূষিত রাজনীতিতে দূষিত খাবারে দূষিত চলাফেরায় দূষিত ক্ষমতার অপব্যবহারে অধ্যুষিত এই দেশ
ভেজাল খাবারের দূষিত কোন একটা খাত নাই দূষিত ছাড়া
Md Nurunnabi বলেছেন,যেখানে বাংগালীর চরিত্রই দুষিত সেখানে সামান্য বায়ু দুষন হলে কি হবে। আমরা বীরের জাতি সব কিছু মুখবুঝে মেনে নেয়া জাতি আমাদের জন্য এসব নিছক হাস্যকর সংবাদ।
Md Yousuf Mahmud বলেছেন, আমি গর্বিত আমার দেশ এক নাম্বারে পাশ করছে🤐
আইকিউ এয়ার এর পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন