মামুনুল হক রয়েল রিসোর্টে এনে ধর্ষণ করেছেঃ ঝর্ণা
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুল হক রয়েল রিসোর্টে এনে ধর্ষণ করার কথা কথিত স্ত্রী পুলিশের কাছে ঘটনার সময় বলেছেন। দুজন পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রোববার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মশিয়ার রহমানের আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষীরা হলেন- সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও এএসআই রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, হেফাজত ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত স্ত্রীর দায়ের করা সোনারগাঁ থানার ধর্ষণ মামলায় ষষ্ঠ দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
এতে ২ জন পুলিশ অফিসার সাক্ষী দিয়েছেন। ঘটনার সময় তারা রয়েল রিসোর্টে গিয়ে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন। ওই সময় দুই পুলিশের কাছে কথিত স্ত্রী বলেছেন- তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুল হক রয়েল রিসোর্টে এনে ধর্ষণ করেছে। এতে প্রমাণ হয় ধর্ষণের সঙ্গে মামুনুল হক সরাসরি জড়িত।
তিনি আরও জানান, আলোচিত এ মামলায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন ৩ অক্টোবর। কঠোর নিরাপত্তায় মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
মামুনুল হকের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, পুলিশ সাক্ষীরা আমাদের জেরায় এলোমেলো উত্তর দিয়েছেন। এতে প্রমাণ হয় মামুনুল হক নির্দোষ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরসহ রয়েলে রিসোর্ট ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তার কথিত স্ত্রী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন।