চট্টগ্রামের ডিসিকে যা বলল বিএনপি
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফরম নেয়ার সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মতো যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন।
গতকাল সকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে রাজধানীর পল্লবীসহ সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আজকে ভোট ডাকাত এই সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুন, নির্যাতনে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ।
এই সরকারের বিরুদ্ধে সারা দেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে, সেখানে একজন ডিসির এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। শুধু ডিসি নয়, সরকারি আমলারাও রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলছেন। আমরা বলতে চাই, যেসব আমলা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হয়েছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আগামীদিনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচন কমিশনদের মতো এই নির্বাচন কমিশনও অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ। যার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছে। আমাদের স্পষ্ট কথা হচ্ছে, এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে, ইভিএম ব্যবহার করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একতরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন এই দেশের জনগণ হতে দেবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। তিনি আরও বলেন, আজকে এই ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে এই চট্টগ্রামের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে সারা দেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে ফিরে যাবো না। আজকে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপির নেতাদের উপর হামলা মামলা শুরু করেছে।
গতকাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ জাতীয় নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এভাবে হামলা করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যেখানে হামলা হবে, সেখানেই পাল্টা হামলা করতে হবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাহউদ্দীনের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, আলহাজ ছালাউদ্দীন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরোয়ার আলমগীর, জসিম উদ্দীন সিকদার, আযম খান, এডভোকেট আবু তাহের, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাত, জয়নাল আবেদিন দুলাল, জাকের হোসেন, দিদারুল আলম মিয়াজী, গাজী নিজাম, গিয়াস উদ্দীন চেয়ারম্যান, জহির আযম চৌধুরী, ছালে আহমদ ছলু, এজাহার মিয়া বক্তব্য রাখেন।