পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু রবিউলের বাবাকে হুমকি
পুলিশ হেফাজতে রবিউলের মৃত্যু ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চলছে। মামলা করতেও বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করলে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীর নামে পুলিশ আহত, গাড়ি ভাঙচুরের পাল্টা মামলা করবে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছে নিহত রবিউলের পরিবার। এতে আতঙ্কিত পুরো কাজীর চওড়া গ্রাম।
এদিকে গতকাল দুপুরে নিহত রবিউলের বাড়িতে গিয়ে প্রশাসনের এ কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, রবিউল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। পুলিশ বাহিনী কাউকে হত্যা করবে তার বিচার হবেনা তা হবেনা। পুলিশ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করলেও সেই কমিটির প্রতি ভরসা নেই বলে জানালেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, পুলিশ কখনো পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিবে না। এ জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির দাবি জানান। তিনি বলেন, যারা মানুষের জানমাল রক্ষা করবে তাদের প্রতি যদি জনগণের আশ্বাস না থাকে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
তদন্ত যেন নিরপেক্ষ থাকে। পুলিশের উপর মহলে বিষয়টা জানানো হয়েছে। তিনি পরিবারের জন্য ৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। রবিউল মৃত্যুর বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে আশ্বাস দিয়ে জিএম কাদের বলেন, পুলিশের আইজি তাকে জানিয়েছেন রবিউল মৃত্যুর বিষয়ে মামলা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলেই কার্যক্রম শুরু হবে। এ সময় রবিউলের স্ত্রীকে চাকরি দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি করেন তিনি।
এদিকে রবিউল হত্যার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিউলের বাবা দুলাল খান জানান, তাকে মামলা না করতে পুলিশ চাপ দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। তবে তিনি মামলা করতে রাজি।
তবে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানালেন, কেউ মামলা দেয়নি তবে রবিউলের মৃত্যুর বিষয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অপরদিকে জুয়া খেলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানালেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বিষয়টি জানা যাবে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বৈশাখী মেলায় খেলনা কিনে আনার সময় পুলিশ আটক করে রবিউলকে। পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় এসআই হালিম ক্লোজ রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।