উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দিল সংসদ সদস্য
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও একই দলের নেতা ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু।
গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত অভিযোগ সম্বলিত একটি চিঠি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলার আরও ৭ উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, গতকাল বিকেলেই তিনি চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০ এপ্রিল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস গোপালপুরে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের জায়গা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্যে তিনি হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তালুকদার নিক্সন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানান।
ওই সভার পর সংসদ সদস্য তানভীর হাসান তাকে হত্যার হুমকি দেন বলে তিনি অভিযোগ তোলেন ইউনুস।
জানা যায়, গতকাল জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপন করেন ইউনুস। এ সময় সেখানে উপস্থিত অন্য উপজেলা চেয়ারম্যানরা এর নিন্দা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস বলেন, ‘ঘটনাটি (হত্যার হুমকি) আমি জেলার অন্য উপজেলা চেয়ারম্যানদের জানালে তারা বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেন।’
এ ছাড়া এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য তানভীর হাসানের বক্তব্য, ১০ এপ্রিলের বৈঠকের পর তিনি চলে গিয়েছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ডেইলি স্টারকে বলেন, আইন শৃঙ্খলার বৈঠক শেষে তিনি চলে গিয়েছিলেন। মিটিং শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে তার কোনো কথাই হয়নি। কাজেই হুমকি দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না ।
তানভীর বলেন, ‘গতকাল (রোববার) গোপালপুরে এক ইফতার মাহফিলে দেখা হলে ইউনুস ইসলামের কাছে আমি এ বিষয়ে জানতে চাই। তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।’
এ সময় সেখানে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন এই সংসদ সদস্য।
তানভীর আরও বলেন, ‘তিনি (ইউনুস) কেন এই নাটকটি করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সামনে আবার নির্বাচন আসছে। তাই হয়তো তিনি আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এসব মিথ্যাচার করছেন।’