তত্ত্বাবধায়ক বা জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন চায়

অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন এবং রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐকমত্যের দুই দফা দাবি জানিয়েছে এবি পার্টি।

এই দাবি আদায়ে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। তবে যুগপৎ নয়, স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে দুই দফা দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাবে দলটি।

সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকার বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বিএনপির ১০ দফা ও ২৭ দফাকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্জু বলেন, মূলত এ মুহূর্তে দেশের মানুষের মৌলিক দাবি দুটি। একটি হলো স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেই সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রয়োজনে এ নির্বাচন জাতিসংঘের অধীনে করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়টি হলো— বাংলাদেশ রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য একটি ঐকমত্যের রূপরেখা, যা হবে সব দলের সম্মতিতে একটি জাতীয় অঙ্গীকার। আর তা হতে হবে অলঙ্ঘনীয়।

এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, গত ১৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন আজ দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। দুঃশাসন, আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের মানুষের আজ নাকাল অবস্থা। ২০১৪ সাল থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না থাকার কারণে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে আজ জবাবদিহিতাহীন ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। রাজনৈতিক এই অচলায়তনের দায় একমাত্র সরকারি দলের।

সংবাদ সম্মেলন থেকে গত শনিবার ঢাকার শাহবাগে খ্যাতিমান প্রকৌশলী এবং একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ম ইনামুল হকের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয়। তাকে দৈহিক নাজেহাল করাকে দেশের জন্য চরম লজ্জা ও কলঙ্কজনক বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। কয়েক দিন আগে গুম হওয়া একটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যে পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেটিকে মোটেও শুভ লক্ষণ নয় বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, গোলাম ফারুক ও আনিসুর রহমান কচি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *