ইভ্যালিতে নিজের ৫০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে দিলেন শামীমা

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন তার মোট শেয়ারের ৫০ শতাংশ তার মা ফরিদা তালুকদার লিলি ও তার ছোট বোনের স্বামী মো. মামুনুর রশীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত ৬ এপ্রিল জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন শামীমা।

ইভ্যালির মোট ৬ লাখ শেয়ারের মালিক ছিলেন তিনি। মা ও ভগ্নীপতিকে দেওয়ার পর তিনি এখন কোম্পানির ৩ লাখ শেয়ারের মালিক।

আজ মঙ্গলবার শামীমার আইনজীবী আহসানুল করিম ও শামীম আহমেদ মেহেদী হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ইভ্যালির সংক্ষুব্ধ গ্রাহক মো. ফরহাদ হোসেনের দায়ের করা মামলার শুনানির সময় তারা এ তথ্য জানান।

ফরহাদ গত বছরের মে মাসে ইভ্যালিতে একটি ওয়াশিং মেশিন অর্ডার করেছিলেন এবং মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা দিয়েছিলেন।

ফরহাদের আইনজীবী সাঈদ মাহসিব হোসেন বলেন, ‘৪ মাসেও তিনি পণ্য পাননি বা টাকা ফেরত পাননি। এ কারণে তিনি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।’

এর আগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চ শামীমাকে এবং ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলকে তাদের ৫০ শতাংশ শেয়ার পরিবারের ৩ সদস্যকে হস্তান্তরের অনুমতি দেন।

শামীমার আইনজীবী শামীম আহমেদ মেহেদী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ হাইকোর্ট বেঞ্চ শামীমাকে ফরহাদের দায়ের করা মামলায় বিবাদী হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন, যেন তিনি আদালতের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চাইতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কারাগারে থাকা মোহাম্মদ রাসেল আরেকটি আবেদনের মাধ্যমে হাইকোর্টের আদেশ চেয়েছেন, যেন তিনি কারাগারে থেকে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি ও ফার্মের রেজিস্ট্রারের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ইভ্যালিতে তার মোট ৪ লাখ শেয়ারের মধ্যে ২ লাখ শেয়ার শ্বশুর মো. রফিকুল আলম তালুকদারের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।’

তবে হাইকোর্ট বেঞ্চ রাসেলের এ আবেদনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানান এই আইনজীবী।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ইভ্যালিকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পদ বিক্রি ও স্থানান্তরে একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন।

১ হাজার কোটি টাকার বেশি দায় থাকা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লিমিটেডের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকির জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে হাইকোর্ট বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *